স্টাফ রিপোর্টার ॥ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যন মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগসাজসে কোভিড-১৯ করোনাকালীণ সময়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য জীবানুনাশক-ব্লিচিং পাউডার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোবস, মাক্স, এন্টিসেটটিক সাবানসহ বিভিন্ন করোনা প্রতিরোধমূলক মালামাল ক্রয়ের জন্য পৃথক দুই দফায় বরাদ্দকৃত পাঁচ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা কোন কমিটি গঠন ও বোর্ড রেজুলেশন ছাড়া টাকা খরচ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ বরিশাল প্রেসক্লাবে গত উপজেলা নির্বাচনে মঠবাড়িয়া উপজেলার নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ও সৌদি আরবের (রিয়াদ) আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসাইন মোশারেফ সাকু এক সংবাদ বর্তমান উপজেলা মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারী টাকা আত্বসাৎ, দূর্ণীতি, সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হোসাইন মোশারেফ সাকু বলেন, করোনা ভাইরাসের চরম ক্রান্তিলগ্নে ভাইরাস রোধকল্পে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২৫ মার্চ, ২০২০ ইং, স্মারক নং- ২১৭, এক লক্ষ টাকা ও ২৬ এপ্রিল, ২০২০ স্মারক নং-২২১, চার লক্ষ ৮৯ হাজারসহ মোট পাঁচ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দের সাথে সাথে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেন যে, ১৫ই জুলাইয়ের মধে “ব্যয় বিবরনী” মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যৌথভাবে ব্যয় বহন করার দায়িত্ব পালন করারও কথা বলেন মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন গত ৮ জুন, উপজেলা মাসিক সভা ডেকে কোন রকম দায়সারা এক আলোচনার মাধ্যমে চার লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার কথা আলোচনা করা হলেও সেসময় অন্য বরাদ্দ আসা এক লক্ষ টাকার কথা ঐ সভায় উত্থাপণ করা হয়নি। একই সভায় কোথায় কিভাবে এত টাকা খরচ হয়েছে সে বিষয়ে কথা উঠে আসলে করোনাকালীণ সময়ে একলক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে তিনটি কম্পিউটার ক্রয় করা হয় বলে জানান। এতে সকল সদস্য বিস্ময় প্রকাশ করেন। অপরদিকে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকলেই তার ভয়ে আতংকগ্রস্থ হয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যার কারনে বাকি একলক্ষ টাকাসহ এবং অপর অংশের এত টাকায় কোথায় কিভাবে খরচ হয়েছে তার হিসাব কেউ জানতে ও চাইতে সাহস পাচ্ছে না। তাই তিনি এই করোনাকালীণ সময়ের দরিদ্র মানুষের জন্য দেয়া সরকারী টাকা আত্বসাৎ করার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টির সঠিক তদন্ত করার দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলে, বিগত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনকালীণ সময়ে শতশত নৌকার কর্মীদের কুপিয়ে অর্ধপঙ্গু করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজুল জয়ী হয়ে মঠবাড়িয়াকে আইয়্যামে জাহিলিয়া যুগের রাম-রাজত্ব কায়েম করেছে। বিগত জোট সরকারের আমলে উপজেলা বিএনপি সভাপতির নাতি বিয়ে করে সেসময় বহু হিন্দুদের বাড়ি-ঘড় দখলসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার কারনে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply